অ্যাবিস থেকে দিগন্ত ঠিক কতটা দূরে?
অ্যাবিস থেকে দিগন্ত ঠিক কতটা দূরে?
একদিন, সেই কবে, সেই কোন দূরে, দিগন্ত থেকে কিছুটা মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার হাত দুটো ছিল সিঁদুরে লাল, ভর্তি ছিল মুঠোয় করা একটা মন। আমারই হবে হয়ত। পৃথিবীতে রোজ কত মন ভাঙে। রোজ কত মন আর জোড়া লাগে না। রোজ কত লোক হারিয়ে যায়, রোজ নেমে আসে অন্ধকার। এ আর এমন কী?
সেই ভাঙা মনের কুঁচোগুলো আজও জোড়া দেওয়া হয়নি। হাত দুটো আজও সিঁদুরে লাল। মনের কুঁচো অংশগুলো বেশ আছে, তবে! শুকনো, গোলাপের পাপড়ির মতন, একতাল মন খারাপের মতন। মন খারাপ কি তবে এরকমই দেখতে হয়?
আমার মন ভেঙেছে বহু যুগ আগে। এখন মন বৃদ্ধ হয়েছে, বার্ধক্যের অবহেলাতেও সে দিব্যি থাকে। এখন আমার চোখে কাজল, কাজলের আছে তীব্র তেজ, মিশমিশে কালো রঙে চোখে নামে রোজ রাত্রির শেষ।
ভেবেছিলাম মন নিয়ে একদিন দিগন্ত হেঁটে যাবো। মন গেল ছেড়ে চলে, মাঝপথে। আমি এখন কাজল পরি, আমি আজও মাঝপথে।
মাঝে মাঝে ভাবি অ্যাবিসের কথা। কেউ কি জানে অ্যাবিস কোথায়? তার ঠিকানা কোথায়? রাত্রির চেয়ে ঘন তার শূন্যতা, কাজলের চেয়েও ঘন তার কালিমা। কেউ কি জানে অ্যাবিস কাকে ডাকে? জানা আছে তার গল্প কী বলে?
তাই বলছি, অ্যাবিস থেকে দিগন্ত ফেরার রাস্তাটা, ঠিক কতদূর, কেউ কি বলতে পারো আমায়?