অবশেষে।
অবশেষে, টুনি বাতি নিভে যায়, - মিসাইলের আঘাতে মৃতদেহ পড়ে থাকে নিস্পৃহ দেবতার পায়। মা হারা শিশু কাঁদে আকাশের পানে চেয়ে শত শত তারারা বোমা হয়ে পড়ে থাকে মায়াভরা গোছা গোছা গোলাপের পাশে। ম্লান হয়ে আসে গান যুদ্ধের দামামায়, শুধু একরোখা মহাকাশ চেয়ে থাকে; অনাহুত পরবাসী নিজেদের ঘরে। রক্তের উৎসব হানা দেয় মন্দিরে, দালানে। শত কোটি জোড়া চোখ চেয়ে চেয়ে মরে যায় স্বপ্নের আশায় এক গোছা ধ্বংসস্তূপের আড়ালে। মানুষের হাহাকার বারে বারে ফিরে আসে পাহাড়ের গায়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে। দিন যায়, রাত যায়, রাজাদের টেবিলে প্রজাদের মেদ আসে সুস্বাদু রসে। যুদ্ধবিমান উপনিবেশ করে মেঘেদের সীমানায়। তবু পৃথিবী ঘুরতে থাকে, আর হিমবাহ বেয়ে চুয়ে পড়ে চোখের জল। মানুষের হাহাকার পৌঁছায়নি ব্রহ্মাণ্ডের গভীরে, শুধু একগোছা লাশ পড়ে থাকে সুদূর গ্রহের কোনায়। কে বা চেনে, যে বা জানে, কে বাঁচে, কে বা মরে, অবিচলিত এক আকাশের নিচে।